ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

এবার বিধ্বস্ত হল অস্ট্রেলিয়ার বিমান

আজারবাইজান-দক্ষিণ কোরিয়ার পর এবার অস্ট্রেলিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুই বিদেশি পর্যটকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তাদের অবস্থা গুরুতর। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া (ডব্লিউএ) উপকূলে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। কর্তৃপক্ষ বুধবার (৮ জানুয়ারি) তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। খবর শিনহুয়া ও রয়টার্সের।

 

বিমানটি হালকা ‘সিপ্লেন’ ছিল। সমুদ্র থেকে উড্ডয়নে সক্ষম বিমানটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ছিল।

 

 

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসনিক প্রধান রজার কুক ও পুলিশ কমিশনার কর্নেল ব্লাঞ্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মঙ্গলবার রাতে নৌপুলিশ বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়।

 

নিহতের মধ্যে দুই পর্যটক সুইস ও ডেনমার্কের নাগরিক। সুইস নারীর বয়স ৬৫ বছর এবং ডেনমার্কের পুরুষ পর্যটকের বয়স ৬০ বছর। আরেকজন ৩৪ বছর বয়সী পাইলট।

 

বিমানটিতে ছয় পর্যটক ও একজন পাইলট ছিলেন। বাকি চারজনকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

 

 

রজার কুক বলেন, প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে একটি পাহাড়ে আঘাত করেছিল।

 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে বেশ কয়েকটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে ভয়ংকর দুর্ঘটনাটি ঘটে। দেশটিতে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৯ জনে। ২৯ ডিসেম্বর সকালে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

জানা গেছে, বিমানটিতে ১৮১ আরোহী ছিলেন। যাদের মধ্যে ১৭৫ যাত্রী এবং ছয়জন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট। থাইল্যান্ড থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ফ্লাইটটি।

 

ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। বাকি দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। থাইল্যান্ড থেকে ফেরার পথে বিমানটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করার সময়। মনে করা হচ্ছে ‘পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

এবার বিধ্বস্ত হল অস্ট্রেলিয়ার বিমান

প্রকাশিত : ১০:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

আজারবাইজান-দক্ষিণ কোরিয়ার পর এবার অস্ট্রেলিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুই বিদেশি পর্যটকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তাদের অবস্থা গুরুতর। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া (ডব্লিউএ) উপকূলে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। কর্তৃপক্ষ বুধবার (৮ জানুয়ারি) তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। খবর শিনহুয়া ও রয়টার্সের।

 

বিমানটি হালকা ‘সিপ্লেন’ ছিল। সমুদ্র থেকে উড্ডয়নে সক্ষম বিমানটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ছিল।

 

 

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসনিক প্রধান রজার কুক ও পুলিশ কমিশনার কর্নেল ব্লাঞ্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মঙ্গলবার রাতে নৌপুলিশ বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়।

 

নিহতের মধ্যে দুই পর্যটক সুইস ও ডেনমার্কের নাগরিক। সুইস নারীর বয়স ৬৫ বছর এবং ডেনমার্কের পুরুষ পর্যটকের বয়স ৬০ বছর। আরেকজন ৩৪ বছর বয়সী পাইলট।

 

বিমানটিতে ছয় পর্যটক ও একজন পাইলট ছিলেন। বাকি চারজনকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

 

 

রজার কুক বলেন, প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে একটি পাহাড়ে আঘাত করেছিল।

 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে বেশ কয়েকটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে ভয়ংকর দুর্ঘটনাটি ঘটে। দেশটিতে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৯ জনে। ২৯ ডিসেম্বর সকালে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

জানা গেছে, বিমানটিতে ১৮১ আরোহী ছিলেন। যাদের মধ্যে ১৭৫ যাত্রী এবং ছয়জন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট। থাইল্যান্ড থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ফ্লাইটটি।

 

ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। বাকি দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। থাইল্যান্ড থেকে ফেরার পথে বিমানটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করার সময়। মনে করা হচ্ছে ‘পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।