বৃষ্টির কারণে আউট ফিল্ড ভেজা থাকায় কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে দেড় সেশনের বেশি- দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন মাঠে গড়ায়নি খেলা। ম্যাচের ফলাফল বের করতে দ্রুত রান তুলেছে রোহিত শর্মার দল। ৩৪.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।
ওভার প্রতি ৮.২২ গড়ে রান তুলেছে স্বাগতিকরা। টেস্টের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে আক্রমণাত্মক দলীয় ইনিংস। এর আগে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলে ৫২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা।
চতুর্থ দিন শেষে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৬ রান। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৬ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। দুই অপরাজিত ব্যাটার সাদমান ইসলাম (৭) ও মুমিনুল (০) পঞ্চম দিনে ব্যাটিং শুরু করবেন।
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রীতিমতো টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাটিং করে ভারতীয় ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ ৭২ রান আসে ওপেনার যশস্বী জয়সোয়ালের ব্যাট থেকে। ৫১ বলে এ রান করেন তিনি। এ ছাড়া ৪৩ বলে ৬৮ রান করেন লোকেশ রাহুল।
দুই টাইগার স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ৪টি করে উইকেট। অন্য উইকেটটি নেন পেসার হাসান মাহমুদ।
এর আগে ৬ উইকেটে ২০৫ নিয়ে চতুর্থ দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বিরতির পর খুব বেশি সময় টিকতে পারেনি টাইগাররা। জসপ্রিত বুমরার বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে থামে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের ইনিংস। যদিও লাঞ্চ বিরতির আগে শতক করা মুমিনুল হক ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে ৩৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে পণ্ড হয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের খেলা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামে দুই অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম।
দিনের ষষ্ঠ ওভারে জসপ্রিত বুমরার বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন মুশফিক (১১)। দারুণ শুরু করেছিলেন লিটন দাস। তবে মোহাম্মদ সিরাজকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন লিটন (১৩)। কানপুর টেস্ট শুরুর আগে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ফলে এ টেস্টে সবার চোখ ছিল তার ওপর।
তবে অশ্বিনের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচে সাকিবকে সাজঘরের পথ দেখান সিরাজ। তবে অপর প্রান্তে অবিচল ছিলেন মুমিনুল। অশ্বিনকে চার মেরে তিনি ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই বাঁহাতি ব্যাটারের ১৩তম শতক এটি। দেশের বাইরে এটি তার দ্বিতীয় শতক। এর আগে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে প্রথম শতক করেছিলেন মুমিনুল।
সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল। টাইগারদের প্রথম ইনিংসে এটি সর্বোচ্চ জুটি। বুমরার বলে স্লিপে শুভমান গিলের হাতে ধরা পড়েন ৪২ বলে ২০ রান করা মিরাজ।
পরের ওভারে রাউন্ড দ্য উইকেটে তাইজুল ইসলামকে (৮ বলে ৫ রান) বোল্ড করেন বুমরা। আর সিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হন হাসান মাহমুদ (৪ বলে ১ রান)। বাংলাদেশের শেষ ব্যাটার খালেদ আহমেদকে আউট করে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন রবীন্দ্র জাদেজা।
১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল। ১৯৪ বলের ইনিংসে ১৭টি চার ও একটি ছক্কার মার ছিল। ভারতের পক্ষে বুমরা ৩টি এবং সিরাজ, অশ্বিন ও আকাশ নেন দুটি করে উইকেট।