বৃষ্টি আর বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস নিয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হয় বাংলাদেশ-পাকিস্তানের দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলার। ম্যাচ শুরুর সময় আকাশে ছিল কালো মেঘের ভেলা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেটে যায় তা।
১৮৫ রানের লক্ষ্যে ধীরেসুস্থে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় টাইগাররা। যা পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। এবার পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের সুযোগ। আর সে পথে এখন পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই রয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
শান মাসুদ-বাবর আজমদের বিপক্ষে এ ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের কাছে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ হবে পাকিস্তান। আর ২৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে টাইগারের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়া তৃতীয় দল হবে স্বাগতিকরা। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২বার) ও জিম্বাবুয়েকে (১বার) টেস্টে করে বাংলাদেশ।
প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের করতে হবে ১৮৫ রান। আর চতুর্থ দিন শেষে বিনা উইকেটে টাইগারদের সংগ্রহ ছিল ৪২ রান।
ফলে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য দরকার আরও ১৪৩ রান। এ লক্ষ্যে বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় নিয়ে পঞ্চম দিনের শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশর দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম।
অর্ধশতক রানের জুটির পর হয় ছন্দপতন। মীর হামজার বলে ব্যক্তিগত ৪০ রানে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন জাকির। এতে ভাঙে ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি। শুরু থেকে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন আরেক ওপেনার সাদমান। আগের ওভারে বেঁচে যান তিনি।
তবে খুররম শেহজাদের হাফভলি বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে মিড অনে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক শান মাসুদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি গড়েন মুমিনুল হক।