এক বছর আগেই চোটে পড়েছিলেন পেসার এবাদত হোসেন। গত জুলাইয়ে পাওয়া চোট থেকে এখনো সেরে উঠতে পারেননি তিনি। পুরোদমে অনুশীলনে ফেরা হয়নি তার। সিলেট-মিরপুর মিলিয়ে টুকটাক অনুশীলন শুরু করেছেন বটে। তবে মাঠে ফিরতে লাগতে পারে আরও এক-দুই মাস।
আপাতত ভারত সফর দিয়ে মাঠে ফেরার ইচ্ছা ৩০ বছর বয়সী ডানহাতি এ পেসারের। কিন্তু গত এক বছর কতটা কষ্টের মধ্য দিয়ে পার হয়েছেন তিনি, বুধবার (১৪ আগস্ট) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শোনালেন সে গল্প।
ক্রিকেট ছাড়া একজন পেশাদার ক্রিকেটারের জীবন কেমন কাটে! সেটা অনুধাবন করাও কঠিন। এক জুলাই থেকে আরেক জুলাই—সে সময়টাকে ভুলে যেতে চান এবাদত, ‘অনেক কষ্টের সময় ছিল। মনে করতেই চাই না। সব সময় একা একা লাগত। খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে থাকব, খেলব, সেটা পারছিলাম না বলেই কষ্ট হচ্ছিল। সঙ্গে হাঁটতেও পারছিলাম না। বাইরে যাব, কারও সঙ্গে দেখা করব, এমন কোনো সুযোগই ছিল না।’
চোটে পড়ার পর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার। এর পর বিভিন্ন সময় রানিংয়ে দেখা যেত। কখনো মিরপুরে কখনোবা নিজের জেলা সিলেটে। এক বছর কাটিয়ে এখন কী অবস্থায় আছেন, সে খবরটা দিলেন এবাদত, ‘আজকে রানিং করলাম, ফিটনেসের কাজ করলাম। ব্যাটিং করেছি, শেষে বোলিং করলাম।
বোলিং শুরু করেছি এক-দেড় মাস হলো। বোলিং ইনটেনসিটির ৭০-৮০ শতাংশ দিতে পারতাম, ওভাবেই আছে এখনো। ট্রেইনার একটা প্রোগ্রাম দিয়েছেন, শেষ অংশে কীভাবে বোলিং করতে হয়, কেমন ফিটনেস বজায় রাখতে হবে। ওটা মেনে অনুশীলন করছি। আশা করছি, আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণ ছন্দে বোলিং করতে পারব।’
চোটের পর সাদা বলের দুটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট খেলা হয়নি এবাদতের। খেলা হয়নি এশিয়া কাপও। এ ছাড়াও অনেকগুলো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে থাকতে হয়েছে দলের বাইরে। পাকিস্তানে এখন টেস্ট খেলতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। পরের সিরিজ ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তবে এবাদতের ফিরতে অপেক্ষা আরও বেশি।
তার ভাষ্যমতে, ‘আমার লক্ষ্য আছে যেন ভারতের সঙ্গে খেলতে পারি। ভারত সিরিজের আগে নিজেদের মধ্যে একটা চার দিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে। ওখানে খেলার সুযোগ থাকলে নিজের ফিটনেসটা বুঝতে পারব। টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য কতটুকু ফিট, বুঝতে পারব।’
নিজের ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বোলিংয়ে ছন্দ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখন যে ছন্দে বোলিং করছি, আমার কাছে ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে, আমি আমার ছন্দটা খুঁজে পাচ্ছি। এটা একটা ইতিবাচক বিষয়। এই সময়ে আমি আমার দ্বিতীয় স্কিল ব্যাটিং ও ফিল্ডিং নিয়ে কাজ করছি। আমার মুখ্য উদ্দেশ্য হলো যেখানে খেলাটা শেষ করেছি, সেখান থেকে যেন আরও ভালো জায়গায় যেতে পারি।’ তবে আগের সে ছন্দে ফিরতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে।