যারা সিটি করপোরেশনকে নষ্ট করেছে তাদের রাখবো না বলে জানিয়েছেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নগর ভবনের এনেক্স হলরুমে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে তিনি প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, আমাদের কার্যক্রম চালুর জন্য জনবল লাগবে। রাসিকে স্থায়ী ও অস্থায়ী জনবল আছে। এর মধ্যে স্থায়ী জনবল আছে ৩৫৩ জন। তাদরে বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে আমরা যাচাইবাচাই করে ব্যবস্থা নেব। আর অস্থীয় জনবল আছে ২ হাজার ৬৫৯ জন। এদের জন্য সিটি করপোরেশনের সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা বিতর্কিত তাদের আমরা রাখব না। যারা সিটি করপোরেশনকে নষ্ট করেছে। ভবিষ্যতে নষ্ট করতে পারে তাদের আমরা রাখব না।
তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন কোন দল ও ব্যক্তির সম্পদ না। এটা রাষ্ট্রের সম্পদ। যদি এখনো কারও কাছে রাসিকের কোনো সম্পদ থেকে থাকে তাহলে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের দিয়ে দিলে আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাব। যদি না দেয় তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করব। এ ছাড়া বিষয়গুলো নিয়ে থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। সেটি পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের কতগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। যেগুলো না করলেই নয়। সেই তালিকার মধ্যে বর্জব্যবস্থাপনা অন্যতম। যেহেতু আমাদের কোন গাড়ি (বর্জব্যবস্থাপনার যানবাহন) ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তাই বর্জব্যবস্থাপনার কাজ চালু রয়েছে। জন্ম, মৃত্যু নিবন্ধন চালু আছে। কিন্তু এটি আগে ওয়ার্ডে কাউন্সিলরা অনুমোদন করতেন। যেহেতু অধিকাংশ ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা পলাতক আর তাদের ফেরার সম্ভাবনাও কম। তাই এখন থেকে এসব কাজ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা করবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ৬০ থেকে ৭০টি কম্পিউটার নিয়ে গেছে। এরমধ্যে ৩০টির কাছাকাছি পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে স্বচল হচ্ছে নাকি। সকালে আমাদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেগুলো নাগরিক সেবা কেন্দ্রিক কাজ, সেগুলো দ্রুততায় আজকের মধ্যে চালু হয়েছে। আর যেগুলো চালু হয়নি সেগুলো আজকের মধ্যে চালু হবে। সিটি করপোরেশন সকল কাজ চালু রয়েছে। নাগরিকরা সেবা পাবেন।
রাসিকের প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বলেন, ক্ষয়ক্ষতি কি হয়েছে সেটা যাচাই করতে হবে। এটা মেরামতের জন্য দিতে হবে। তখন তো একটা হিসেবের প্রশ্ন আসবে। এজন্য আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি। সেখানে রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, ইলেট্রিক্যাল, সিভিল ও ফায়ার সার্ভিসের লোক রয়েছে। এখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, টাকার অঙ্কে সম্ভাব্য ক্ষতি হয়েছে কত, এছাড়া এখান থেকে উত্তোরণের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।
প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, রাজশাহী মহানগরীতে চারটি প্রকল্প রয়েছে। এরমধ্যে একটি শেষ হয়েছে। বাকিগুলো চলমান রয়েছে। যথেষ্ট বরাদ আছে। কাজ যাতে অসমাপ্ত না থাকে।
এ সময় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনসহ রাসিকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।