ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

ফার্মগেট আনোয়ারা উদ্যানে পার্কই হবে: মেয়র আতিক

ফার্মগেটে আনোয়ারা উদ্যানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না, এটি পার্ক (উদ্যান) হিসেবেই জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

 

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে শক্তি ফাউন্ডেশন এবং ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ ঘোষণা দেন।

 

 

বায়ুর গুণমান উন্নতকরণে তথ্যভিত্তিক সমাধান এবং তার যথাযথ প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপের লক্ষ্যে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

 

আতিকুল ইসলাম বলেন, ফার্মগেটে আনোয়ারা উদ্যানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না, এটি পার্ক (উদ্যান) হিসেবেই জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এটি একসময় পার্ক ছিল। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী এটি পার্ক হিসেবে ফিরিয়ে দিতে হবে। আমি জনগণের সঙ্গে আছি। এখানে কোনো স্থাপনা নয়, এটি পার্ক হিসেবেই থাকবে।

 

 

বায়ুদূষণ রোধে ৫টি করণীয় তুলে ধরেন মেয়র। এগুলো হলো- ধুলাবাহিত বায়ুদূষণ রোধকল্পে নির্মাণস্থলে আচ্ছাদন ব্যবহার করা, বায়ুবাহিত সূক্ষ্ম কণা ছড়িয়ে দেয়- এমন উপকরণ বহনকারী যানবাহনের জন্য উপযুক্ত আচ্ছাদন ব্যবহার নিশ্চিত করা, কালো ধোঁয়া নির্গমন হয়- এমন অনুপযুক্ত যানবাহন নিষিদ্ধ করা, অপ্রয়োজনীয় পাতা-বর্জ্য পোড়ানো পরিহার করা এবং নালা ও খালের অবৈধ পয়োনিষ্কাশন লাইন বন্ধ করা।

 

 

মেয়র আতিকুল বলেন, শহরের পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বিভিন্ন সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। গুলশান ও বারিধারা এলাকায় একটি সার্ভে (জরিপ) করেছিলাম। বেশিরভাগ ভবনে সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই। অভিজাত এলাকা পয়োঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ সিটি করপোরেশনের সারফেস ড্রেনে দিয়ে দূষণ করছে। গুলশান ও বারিধারা খালের পানি দূষিত। মাছ চাষ করা যায় না; সেখানে মশার চাষ হচ্ছে।

 

তিনি বলেন, শহরের প্রায় সব ভবনেই এয়ার কন্ডিশন (শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) লাগানো আছে। সবাই হাজার হাজার টাকা খরচ করে ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য এসি লাগাচ্ছেন, কিন্তু সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কেউ চিন্তা করছেন না। নির্বিচারে শহরের খালে, ড্রেনে সুয়ারেজের সংযোগ দিয়ে পানি, বায়ু দূষণ করছে। এসব বন্ধ করতে হবে। এসব অবৈধ সংযোগ বন্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।

 

 

শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও অংশ নেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক মো. লোকমান হোসেন মোল্লা।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

ফার্মগেট আনোয়ারা উদ্যানে পার্কই হবে: মেয়র আতিক

প্রকাশিত : ০১:০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

ফার্মগেটে আনোয়ারা উদ্যানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না, এটি পার্ক (উদ্যান) হিসেবেই জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

 

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে শক্তি ফাউন্ডেশন এবং ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ ঘোষণা দেন।

 

 

বায়ুর গুণমান উন্নতকরণে তথ্যভিত্তিক সমাধান এবং তার যথাযথ প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপের লক্ষ্যে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

 

আতিকুল ইসলাম বলেন, ফার্মগেটে আনোয়ারা উদ্যানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না, এটি পার্ক (উদ্যান) হিসেবেই জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এটি একসময় পার্ক ছিল। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী এটি পার্ক হিসেবে ফিরিয়ে দিতে হবে। আমি জনগণের সঙ্গে আছি। এখানে কোনো স্থাপনা নয়, এটি পার্ক হিসেবেই থাকবে।

 

 

বায়ুদূষণ রোধে ৫টি করণীয় তুলে ধরেন মেয়র। এগুলো হলো- ধুলাবাহিত বায়ুদূষণ রোধকল্পে নির্মাণস্থলে আচ্ছাদন ব্যবহার করা, বায়ুবাহিত সূক্ষ্ম কণা ছড়িয়ে দেয়- এমন উপকরণ বহনকারী যানবাহনের জন্য উপযুক্ত আচ্ছাদন ব্যবহার নিশ্চিত করা, কালো ধোঁয়া নির্গমন হয়- এমন অনুপযুক্ত যানবাহন নিষিদ্ধ করা, অপ্রয়োজনীয় পাতা-বর্জ্য পোড়ানো পরিহার করা এবং নালা ও খালের অবৈধ পয়োনিষ্কাশন লাইন বন্ধ করা।

 

 

মেয়র আতিকুল বলেন, শহরের পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বিভিন্ন সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। গুলশান ও বারিধারা এলাকায় একটি সার্ভে (জরিপ) করেছিলাম। বেশিরভাগ ভবনে সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই। অভিজাত এলাকা পয়োঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ সিটি করপোরেশনের সারফেস ড্রেনে দিয়ে দূষণ করছে। গুলশান ও বারিধারা খালের পানি দূষিত। মাছ চাষ করা যায় না; সেখানে মশার চাষ হচ্ছে।

 

তিনি বলেন, শহরের প্রায় সব ভবনেই এয়ার কন্ডিশন (শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) লাগানো আছে। সবাই হাজার হাজার টাকা খরচ করে ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য এসি লাগাচ্ছেন, কিন্তু সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কেউ চিন্তা করছেন না। নির্বিচারে শহরের খালে, ড্রেনে সুয়ারেজের সংযোগ দিয়ে পানি, বায়ু দূষণ করছে। এসব বন্ধ করতে হবে। এসব অবৈধ সংযোগ বন্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।

 

 

শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও অংশ নেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক মো. লোকমান হোসেন মোল্লা।