প্রতি বছরই বিতর্কের আবহে শুরু হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। তবে এবার মাঠ ও মাঠের বাইরে নতুন রূপে বিপিএলকে তুলে ধরতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সাত দলের এই টুর্নামেন্টটিকে আন্তর্জাতিক মানের করতে বিসিবি পাশে পাচ্ছে সরকারেরও সহযোগিতা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে টুর্নামেন্টকে নতুনভাবে সাজাতে চায় বিসিবি ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
বিপিএলকে আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় করতে নানামুখী উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা মাঠে আসলে এবং বিশ্ববিখ্যাত কোনো ফুটবলার বা হলিউড তারকা উপস্থিত থাকলে সেটি বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচার পাবে। এতে বিপিএলই নয়, বাংলাদেশকেও বিশ্বের সামনে নতুন করে তুলে ধরা সম্ভব হবে।’
বিশ্বমানের টুর্নামেন্টে পরিণত করতে বিপিএলে এবার থাকবে মাসকট, ট্রফি ট্যুর এবং একটি থিম সং। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক রাহাত ফাতেহ আলী খানের পারফর্ম করার সম্ভাবনাও রয়েছে। কনসার্টটি শুধু মিরপুরেই নয়, চট্টগ্রাম ও সিলেটেও অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের বিপিএল শুধু মাঠেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। সারা দেশে তরুণদের উজ্জীবিত করতে বিপিএলের সময় ইয়ুথ ফেস্টিভাল আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে বিসিবি ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। জুলাই-আগস্টে গণজাগরণের পর তরুণদের যে উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, সেটি বিপিএলের মাধ্যমে আরও প্রসারিত হবে। এ প্রসঙ্গে নাজমূল আবেদীন বলেন, ‘সামাজিক বিভিন্ন বিষয়েও বিপিএল ভূমিকা রাখবে। শুধু খেলার মাঠে নয়, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিপিএলের চেতনা ছড়িয়ে পড়বে।’
বিপিএল আয়োজন নিয়ে নতুন উদ্দীপনার পাশাপাশি, ক্রিকেটের বাইরের তারকারাও এবার আসরকে আলোকিত করবেন। বাংলাদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক তারকাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিসিবি। জানা গেছে, বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে চিত্রনায়ক শাকিব খান ও ইমন অংশ নিয়েছেন। এছাড়া, বিপিএলের ম্যাচগুলোতে মাঠে উপস্থিত থাকতে পারেন বেশ কয়েকজন হলিউড তারকাও।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে বিপিএলের ১১তম আসর। এবারের বিপিএলে দর্শকদের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে একাধিক নতুন উদ্যোগ ও আকর্ষণ, যা শুধু টুর্নামেন্টকে নয়, বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উজ্জ্বল করবে বলে মনে করছে বিসিবি।