সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ ও নারীদের ৩৭ বছর করার সুপারিশ দিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি সম্প্রতি এমন প্রস্তাব দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছরই সুপারিশ করেছে পর্যালোচনা কমিটি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) কমিটির একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, পর্যালোচনা কমিটি চাকরির বয়স বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে তার আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে। সেক্ষেত্রে বয়সে প্রবেশের সীমা শেষ পর্যন্ত কত বছর হবে তার জন্য সরকারের ঘোষণার অপেক্ষায় থাকতে হবে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি প্রায় একযুগের। এই ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন হয়েছে রাজপথে। শেখ হাসিনা সরকারের সময় এ আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশি হামলা ও গ্রেপ্তারের শিকার হতে হয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবুও থেমে যাননি চকরিতে বয়স বড়ানোর আন্দোলনে যুক্ত চাকরি প্রত্যাশিরা।
তবে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর এ আন্দোলন আরও গতি পায়। তাদের বিষয়টি আমলে নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে দেয় সরকার। অবশেষে তার সপ্তাহখানেক পর সরকারের কাছে সুপারিশ দিয়েছে এ কমিটি।
এর আগে জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো চাকরি প্রত্যাশিদের বয়সের সময়সীমা বড়ানোর পক্ষে দলের অবস্থান তুলে ধরেছে।
সূত্র জানায়, সুপারিশের ক্ষেত্রে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, পরীক্ষার ধরন ও কর্মসংস্থানের সুযোগের বিষয়টি আমলে নিয়েছে পর্যালোচনা কমিটি। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলে ৩২ বছর।