দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে এখন থেকে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
স্থানীয় সময় সোমবার (২০ মে) এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
বিবৃতিতে বলা হয়, বড় ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণে আজিজ আহমেদকে পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।
বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন করতে ভূমিকা রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বাংলাদেশের সরকারি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ এবং নিজের ভাইকে অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহায়তা করার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন আজিজ আহমেদ। এ ছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক চুক্তি পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। এমনকি নিজ স্বার্থে সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ পর্যন্ত নিয়েছেন।
তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করে। এই দেশের সরকারি পরিষেবা আরও স্বচ্ছ ও সাশ্রয়ী করতে, ব্যবসায়িক ও নিয়ন্ত্রক পরিবেশ উন্নত করতে এবং অর্থপাচার ও অন্যান্য আর্থিক অপরাধের তদন্ত ও বিচারের সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাকে সহায়তা করে আসছে ওয়াশিংটন।