ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি, নদীপাড়ে আতঙ্ক 

উজানে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে ফসল নিয়ে আতঙ্কিত তিস্তা পাড়ের কৃষকরা।

 

শুক্রবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) যা ১২ ঘণ্টা আগে তিস্তার পানি দশমিক ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে ৫১ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

 

 

স্থানীয়রা জানান, তিস্তার পানি বাড়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী চরে বাদাম ক্ষেত, ধানের বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

 

 

তিস্তাপাড়ের কৃষক মকবুল আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে তিস্তার পানি বাড়তেছে। পানি বাড়লে আমাদের জায়গা-জমির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে।’

 

 

দোয়ানী গ্রামের কৃষক আনোয়ারুল হক বলেন, ‘ভারতে বন্যা হয়েছে। এ পানি যদি আমাদের দেশের দিকে ছাড়ে তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। যখন পানি চাই তখন পাই না। বর্ষাকালে আমাদের পানি দিচ্ছে, এ পানি দিয়ে আমরা কী করব।’

 

 

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, ‘ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং সেই পানি বিপদ সীমার নিচে চলে যাছে।’

 

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি, নদীপাড়ে আতঙ্ক 

প্রকাশিত : ১২:০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

উজানে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে ফসল নিয়ে আতঙ্কিত তিস্তা পাড়ের কৃষকরা।

 

শুক্রবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) যা ১২ ঘণ্টা আগে তিস্তার পানি দশমিক ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে ৫১ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

 

 

স্থানীয়রা জানান, তিস্তার পানি বাড়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী চরে বাদাম ক্ষেত, ধানের বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

 

 

তিস্তাপাড়ের কৃষক মকবুল আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে তিস্তার পানি বাড়তেছে। পানি বাড়লে আমাদের জায়গা-জমির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে।’

 

 

দোয়ানী গ্রামের কৃষক আনোয়ারুল হক বলেন, ‘ভারতে বন্যা হয়েছে। এ পানি যদি আমাদের দেশের দিকে ছাড়ে তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। যখন পানি চাই তখন পাই না। বর্ষাকালে আমাদের পানি দিচ্ছে, এ পানি দিয়ে আমরা কী করব।’

 

 

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, ‘ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং সেই পানি বিপদ সীমার নিচে চলে যাছে।’