ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪
অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ

থানায় বুবলীর অভিযোগ: দুজনকে সতর্ক করেছে পুলিশ

ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। শাকিবের হাত ধরে চলচ্চিত্রে এলেও তিনি এখন অনেক নায়কের সঙ্গেই সিনেমা করছেন। তবে মাঝে শাকিবের সঙ্গে বিয়ে ও এক সন্তানের মা হয়েছেন। তবে এসব নিয়ে বির্তক কম নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই নানা ধরনের হেনস্থার শিকার হতে হয় এ নায়িকাকে।

 

অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শবনম বুবলী। গত ২৪ এপ্রিল রাজধানীর ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।

 

 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট চলচ্চিত্র অভিনেতা সুরুজ বাঙ্গালী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর মৌ সুলতানাকে ডেকে সর্তক করেছে।

 

 

বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি নাজমুল ইসলাম। তিনি জানান, বিষয়টি কগনিজেবল অফেন্স (আমলযোগ্য অপরাধ) না, তাদের ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এগুলো করলে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তারা এটা বুঝতে পেরেছেন এবং তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। একইসঙ্গে তারা কখনই এমন করবেন না বলে গেছেন।

 

 

ডিএমপির সিটিটিসি বিভাগের সাইবার ইউনিট এক বিবৃতিতে জানায়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এখন নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন নেটিজেনরা। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, টুইটার, ভাইবার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোস্টিংয়ের নামে সংস্কৃতি কর্মীদের টার্গেট করে অনবরত বুলিং করছেন এবং কুৎসা রটনা করে চলেছেন।

 

 

এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি অভিনয় শিল্পী শবনম বুবলীও এহেন অপরাধের শিকার হোন, তার জিডি ও অভিযোগের ভিত্তিতে একজন পুরুষ অভিনেতা ও একজন নারী কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে ও এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সাইবার স্পেসে যে কাউকে হেয় করা অপরাধ ও তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সংস্কৃতি কর্মী বা সাধারণ ভিক্টিম সবার জন্য আমাদের সাইবার সেবা উম্মুক্ত থাকবে।

 

এদিকে, সাধারণ ডায়েরিতে বুবলী উল্লেখ করেছেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে কিছু ব্যক্তি, অনলাইন পোর্টল ও টিভি চ্যানেল তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আমার নামে বিভিন্ন অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেছি।’

 

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ‘প্রতিদিনের চিত্র’, ‘জমশেদ ভাই’, ‘মৌ সুলতানা’, ‘সনি কমিনিকেশন’, ‘এসকে উজ্জল’, সোনিয়া শিমু’, ‘ফেরদৌস কবির’, ‘আবুল হোসাইন তুফান, ‘শাহিনুর আক্তর’, ‘জাহিদুল ইসলাস আপন’সহ ১৫-২০টি ফেসবুক পেজ-ইউটিউব চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেছেন বুবলী। তার অভিযোগের তালিকায় আছে দেশের ৪টি গণমাধ্যমেরও নাম।

 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্য ইমেইল

অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ

থানায় বুবলীর অভিযোগ: দুজনকে সতর্ক করেছে পুলিশ

প্রকাশিত : ১২:০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। শাকিবের হাত ধরে চলচ্চিত্রে এলেও তিনি এখন অনেক নায়কের সঙ্গেই সিনেমা করছেন। তবে মাঝে শাকিবের সঙ্গে বিয়ে ও এক সন্তানের মা হয়েছেন। তবে এসব নিয়ে বির্তক কম নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই নানা ধরনের হেনস্থার শিকার হতে হয় এ নায়িকাকে।

 

অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শবনম বুবলী। গত ২৪ এপ্রিল রাজধানীর ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।

 

 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট চলচ্চিত্র অভিনেতা সুরুজ বাঙ্গালী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর মৌ সুলতানাকে ডেকে সর্তক করেছে।

 

 

বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি নাজমুল ইসলাম। তিনি জানান, বিষয়টি কগনিজেবল অফেন্স (আমলযোগ্য অপরাধ) না, তাদের ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এগুলো করলে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তারা এটা বুঝতে পেরেছেন এবং তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। একইসঙ্গে তারা কখনই এমন করবেন না বলে গেছেন।

 

 

ডিএমপির সিটিটিসি বিভাগের সাইবার ইউনিট এক বিবৃতিতে জানায়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এখন নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন নেটিজেনরা। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, টুইটার, ভাইবার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোস্টিংয়ের নামে সংস্কৃতি কর্মীদের টার্গেট করে অনবরত বুলিং করছেন এবং কুৎসা রটনা করে চলেছেন।

 

 

এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি অভিনয় শিল্পী শবনম বুবলীও এহেন অপরাধের শিকার হোন, তার জিডি ও অভিযোগের ভিত্তিতে একজন পুরুষ অভিনেতা ও একজন নারী কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে ও এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সাইবার স্পেসে যে কাউকে হেয় করা অপরাধ ও তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সংস্কৃতি কর্মী বা সাধারণ ভিক্টিম সবার জন্য আমাদের সাইবার সেবা উম্মুক্ত থাকবে।

 

এদিকে, সাধারণ ডায়েরিতে বুবলী উল্লেখ করেছেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে কিছু ব্যক্তি, অনলাইন পোর্টল ও টিভি চ্যানেল তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আমার নামে বিভিন্ন অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেছি।’

 

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ‘প্রতিদিনের চিত্র’, ‘জমশেদ ভাই’, ‘মৌ সুলতানা’, ‘সনি কমিনিকেশন’, ‘এসকে উজ্জল’, সোনিয়া শিমু’, ‘ফেরদৌস কবির’, ‘আবুল হোসাইন তুফান, ‘শাহিনুর আক্তর’, ‘জাহিদুল ইসলাস আপন’সহ ১৫-২০টি ফেসবুক পেজ-ইউটিউব চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেছেন বুবলী। তার অভিযোগের তালিকায় আছে দেশের ৪টি গণমাধ্যমেরও নাম।